জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল হতে তার কার্যক্রম শুরু করে সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নিয়ম অনুযায়ী সেমিষ্টার পদ্ধতি, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষা মূল্যায়ন ও শিক্ষাক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ভিশনঃ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতির মূল স্রোত ধারার পথে একত্রিত করে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা ।
মিশনঃ দক্ষ নার্স তৈরি করে দেশের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে কাজ করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে দক্ষ নার্স প্রেরন করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সুসংহত করতে কাজ করা ।
কার্যক্রমঃ জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজে দুটি সু-বিশাল ভবনে তাদের একাডেমিক কর্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । এখানে অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় ৬৫০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য রয়েছে অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নার্স),জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নার্স),প্রভাষক সহ মোট ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী । আর এই দক্ষ ও কর্মনিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলীর একান্ত প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল অধীনে অনুষ্ঠিত সকল পরিক্ষায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করে আসছে । উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ উদ্যোগে ও জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ এর জব প্লেসমেন্ট বিভাগের সহায়তায় শতভাগ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে নিজ নিজ কর্মসংস্থানে দ্রুতি ছড়াচ্ছে ।
নার্সিংঃ অনেকেই মানুষের সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে চান। এমনই সেবামূলক এক পেশা হচ্ছে নার্সিং। এই পেশায় একদিকে যেমন মানুষের সেবা করা যায়, তেমনি ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। দেশে এখন প্রায় সব জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। আরও হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই নার্সের প্রয়োজন হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগ করে বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর। এই পরিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ জনকে এবং ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬০০ জনকে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সামনে আরও কয়েক হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ক্লিনিকগুলোতে নার্স হিসেবে কাজের সুযোগ বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও নার্সিং পেশায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকে
বি.এসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) দুই বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্স। প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতার মানদণ্ড, কোর্স কারিকুলাম, চাকরির সম্ভাবনা এবং আরও অনেক বিষয়ে বিএসসি নার্সিং (পোস্ট বেসিক) কোর্স সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা নীচে দেওয়া হল।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি পাস কৃত শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নিবন্ধিত কৃত শিক্ষার্থী হতে হবে।
কাজের সুবিধাঃ
নার্সরা স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিবিবিএসসি ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, পুনর্বাসন কেন্দ্র, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, এনজিও ইত্যাদিতে ভাল চাকরি পেতে পারেন তবে উন্নত কর্মজীবনের সুযোগ পেতে প্রার্থীদের এম তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে .এসসি নার্সিং কোর্স শেষ করে।
স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতির পরিবর্তনশীল ধারণা মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে নব নব দ্বার উন্মোচন করেছে । বর্তমানে নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এডুকেশন বিষয়ক ডিগ্রি হলো মেডিকেল শিক্ষার একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা ।
জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ পরিচালিত নার্সিং ইনস্টিটিউট সহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্দিত একটি প্রতিষ্ঠান । প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবামূলক সংস্থা । ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ হইতে এই জনহিতকরন প্রতিষ্ঠানগোলুর সৃষ্টি ইনস্টিটিউটগোলো ঢাকা , বগুড়া , ময়মনসিংহ , জামালপুর , দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁয়ে অবস্থিত । বাংলাদেশের সমস্ত ক্রমবর্ধমান সাস্থসেবা খাত দ্রুত গতিতে বিকাশিত হচ্ছে ।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ছোট / বড় অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক , নার্সিং হোম , সাস্থসেবা কেন্দ্র ও এনজিও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে । এই সব সেবা কেন্দ্রে সাস্থ সেবা প্রদানের মত পর্যাপ্ত ও দক্ষ ডিপ্লোমা নার্সের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান উন্নত মানের সাস্থ্ সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে । জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ এর প্রতিষ্ঠনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স তৈরি করার মাধ্যমে সাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে নার্স সংকট দূরীকরন ও তাদেরকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । প্রশিক্ষিত নার্সরা দেশে / বিদেশে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি ।
জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ তার ছাত্র / ছাত্রীদেরকে Faculty ও Staff দের তত্ত্বাবধানে , দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলছে । এই শিক্ষা সাস্থ্য সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্ব্যব্যাপী চাহিদার অপার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে । যেহেতু একটি জীবন বিষয়ক শিক্ষা পদ্ধতি তাই নিঃসন্দেহে এর চাহিদা ও ব্যাপকতা অনেক বেশী ।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ছোট / বড় অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক , নার্সিং হোম , সাস্থসেবা কেন্দ্র ও এনজিও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে । এই সব সেবা কেন্দ্রে সাস্থ সেবা প্রদানের মত পর্যাপ্ত ও দক্ষ ডিপ্লোমা নার্সের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান উন্নত মানের সাস্থ্ সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে । জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ- দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স তৈরি করার মাধ্যমে সাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে নার্স সংকট দূরীকরন ও তাদেরকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । প্রশিক্ষিত নার্সরা দেশে / বিদেশে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি ।
Medical Assistant Training School (MATS) হলো গ্রাম বাংলার জনগনের সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার সেবার লক্ষ্য নিয়ে- ১৯৭৬ সালে সরকার প্রথম মধ্যম মানের চিকিৎসক তৈরীর উদ্দেশ্যে ৩ বৎসর মেয়াদী বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে।
এই কোর্সের নাম Medical Assistant Training Course. যা State Medical Faculty থেকে এই ডিপ্লোমা প্রাপ্ত চিকিৎসকগন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন/লাইসেন্স প্রাপ্ত মধ্যম মানের চিকিৎসক। বাংলাদেশের ৬৮,০০০ হাজার গ্রামের প্রায় ১৫ কোটি মানুষের সাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্যই মূলত এই চিকিৎসা শ্রেণী তৈরী হয়। ১৯৭৬ সালে কোর্স চালু হলে পরবর্তীতে ১৯৭৯ সাল থেকে গ্রাম/ইউনিয়ন এবং উপজেলা-লেভেলে নিয়োগ প্রাপ্ত মেডিকেল এ্যাসিষ্ট্যান্টগন গ্রাম বাংলার মানুষের চিকিৎসা সেবা তথা সাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে।
মানুষের যে কোন সাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার কারনে বহু উচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত ডাক্তার রয়েছেন যারা বেশীর ভাগই শহরাঞ্চলে বসবাস করেন। ফলে গ্র্রামের মানুষ তাদের সাস্থ্য সমস্যায় প্রাথমিক যে ডাক্তারদের সহযোগীতা পায় তারা হল এই বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত ডিপ্লোমা ডাক্তার। মেডিকেল এ্যাসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্সধারী ডাক্তার গ্রামের মানুষের কাছে আজ তাদের পরিচিতির প্রয়োজনীয়তা বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়। তাদের সেবায় মানুষ সন্তুষ্ট।
Medical Assistant Training Course সম্পন্নকারীগনকে সরকার Diploma of Medical Faculty (DMF) ডিগ্রি দিয়ে থাকে। সরকারী পর্যায়ে MATS কোর্স চালু করার জন্য প্রথমে ৮টি প্রতিষ্ঠান খোলা হয় । পরবর্তীতে বৃদ্ধি করে ১৮টি করা হয় এবং তাহা পরবর্তীতে কমিয়ে ৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। যাহা সমাজের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। বিধায় সরকার উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা বেসরকারী পর্যায়ে শুরু করার অনুমোদন দিয়েছেন তাই জসিম উদ্দিন নার্সিং কলেজ এই উদ্যোগ নিয়েছেন ।
বাংলাদেশ সরকার ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল জন্য প্রণীত নীতির ভিত্তিতে কমিউনিটি প্যারামেডিক বেসিক কারিকুলাম প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ দুই বছর মেয়াদী কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স পরিচালনা করেছে। বর্তমানে Situs Judi Slot Terbaik, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে সহকারী নার্সিং সহকারী পদে এই কোর্সে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে আসছে।.