শহীদুল্যাহ কায়ছার
অধ্যক্ষের বাণী
আস-সালামু আলাইকুম, দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষায় আলোকিত মানুষের বিকল্প নেই। আলোকিত মানুষই পারে জাতীয় উন্নয়নে সর্বশেষ অবদান রাখবে। আলোকিত মানব সম্পদ সৃষ্ঠিতে শিক্ষা একমাত্র হাতিয়ার। যথার্থ শিক্ষা বিস্তার ও ব্যক্তিত্ব গঠনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিহার্য। একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লক্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রোতধারায় উন্নত জাতি হিসাবে বিশ্ব আসনে সমাসীন হওয়ার প্রধান অবলম্বন স্ব-শিক্ষিত মানব সম্পদ। আর এই গতিপথ একবিংশ শতাব্দীর মূল চ্যালেন্স হচ্ছে প্রযুক্তির বিকাশ। জীবন ধারায় এই চ্যালেন্স মেকাবেলায় প্রয়োজন যুগোপযোগী শিক্ষা। প্রযুক্তির এই যুগে জন সম্পদকে কারিগরি শিক্ষায় উদ্ভাসিত করে দক্ষ মানব শক্তিকে সম্পদে রুপান্তরিত করার কোন বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ আবশ্যক। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আনিক বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পালন করছে জাদুর কাঠির মত বিস্ময়কর ভূমিকা । শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ফল ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। তাই কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা বিস্তার বাস্তবায়নে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেমন সেবা দিচ্ছে তেমনি তার পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে আমাদের অংশ দ্বারিত্ব কম নয়। কারিগরি ও বৃত্তি মূলক শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের অদক্ষ মানব শক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করে সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী জাতি তৈরিতে আমরা দৃঢ় সংকল্প বদ্ধ।
মো: সাখাওয়াত হোসেন সুমন
উপাধ্যক্ষের বাণী
সাইক শিক্ষা পরিবারের অন্যতম সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান “জসিম উদ্দিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় “জসিম উদ্দিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখাসহ হাতে কলমে শিক্ষার উপর গুরুত্বরোপ করেছে। শিক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা, ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তৈরি এবং কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকার কারিগরি শিক্ষায় ২০২০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এনরোলমেন্ট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে “জসিম উদ্দিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” বদ্ধ পরিকর। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি হয়ে উঠুক জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ সঠিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে হয়ে উঠোক পরিপূর্ণ মানুষ। আসুন আমাদের যুব সমাজ ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতার মান বৃদ্ধিতে “জসিম উদ্দিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” এর প্রশিক্ষন নিয়ে উন্নত বিশ্বের সাথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের সন্তানদেরকে আত্নমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলে তাদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ি। আমি এই শিক্ষাপরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে গর্ববোধ করছি এবং প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।