যে কোন মানুষ অসুস্থ হলেই তাকে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হয় আর তখন ডাক্তারের চিকিৎসা করার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক রোগ নির্ণয়ের কাজটাই করে একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট। সঠিক রোগ নির্ণয় না হলে মানুষ অনেক ভোগান্তির শিকার হয় এমনকি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও হতে পারে। মেডিক্যাল Laboratory টেকনিশিয়ানরা এদের চেয়ে এক ধাপ নিচে।সাধারনত এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করে টেকনিশিয়ান হয় কিন্তু তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট হয়। মূলত টিস্যু, রক্ত, মল, মানব শরীরের অন্যান্য পদার্থ পরীক্ষা করতে হয় এবং কাজের ফলাফল জানতে হয় সংশ্লিস্ট চিকিৎসককে। এছাড়া ল্যাবরেটরী সংক্রান্ত সব বিষয়েই দক্ষ হতে হবে। স্পেশালাইজেশন করা যায় মাইক্রো বায়োলজি, হেমাটোলজি, ইউরিন এনালাইসিস, সেরোলজি, ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি, ট্রক্সিকোলজি, ভাইরোলজি, হিস্টোপ্যাথলজি এবং সাইটোলজি বিষয়ে মূলত এটি একটি প্রফেশনাল ও সেবা মূলক কাজ।
এই বিষয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও নিষ্ঠার সাথে পড়াশোনা করতে হবে। তবে এই কোর্স পড়ে উন্নত ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব। এই কোর্স সম্পন্ন করলে কাজের সুযোগ অনেক। একজন ছাত্র চাইলেই ৩য় বর্ষ থেকে Job করতে পারে। পাশ করার পর যে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ৮০০০-১০০০০/= টাকায় চাকুরী শুরু করতে পারে। শুধুমাত্র Diploma শেষ করে চিফ টেকনোলজিষ্ট, ডিপার্টমেন্টাল সুপারভাইজার, ল্যাব ইনচার্জ এবং ল্যাব সাইনটিস্ট অফিসার পর্যন্ত হওয়া যায়।
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অত্র ইনস্টিটিউটে B.Sc in Health Technology (Pathology) কোর্স চালু রয়েছে (৪ বছর মেয়াদী)। যার ফলে প্যাথলজি টেকনোলজিতে যারা ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করবেন তাদের Bachelor Degree করার বিশেষ সুযোগ তৈরী হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহনের সুযোগ রয়েছে।
চাকুরীরক্ষেত্রসমূহঃ
প্যাথলজি পড়তে যে সমস্ত ল্যাব পয়োজন: