B.Sc in Nursing Basic
নার্সিংঃ অনেকেই মানুষের সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে চান। এমনই সেবামূলক এক পেশা হচ্ছে নার্সিং। এই পেশায় একদিকে যেমন মানুষের সেবা করা যায়, তেমনি ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। দেশে এখন প্রায় সব জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। আরও হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই নার্সের প্রয়োজন হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগ করে বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর। এই পরিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ জনকে এবং ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬০০ জনকে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সামনে আরও কয়েক হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ক্লিনিকগুলোতে নার্স হিসেবে কাজের সুযোগ বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও নার্সিং পেশায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকে।
পেশা হিসেবে নার্সিং
নার্সিং পেশা একটি জনসেবামূলক পেশা। এ পেশায় আসতে হলে মানুষের সেবার মানসিকতা থাকতে হবে। নার্সিং পেশাটি একটি মহৎ পেশা। কাজটিও আনন্দের। একজন নার্সকে সাধারণত চিকিৎসকের নানা কাজের সহকারী হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিকের আউটডোর ও ইনডোর, অপারেশন থিয়েটারে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া রোগীকে ওষুধ খেতে সহায়তা করাসহ নানাভাবে সেবা করারও কাজ করতে হয়। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তো বটেই, বিদেশেও নার্সিং পেশার দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, কাতার, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। তাই এ পেশায় বর্তমানে যেমন রয়েছে সম্মান, তেমনি রয়েছে সম্ভাবনা। এখানেও অন্যান্য চাকরির মতো ভালো বেতন ও অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি পদোন্নতির ব্যবস্থা আছে। দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সুপারিনটেনডেন্ট, নার্সিং ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক হতে পারেন। এ ছাড়া সরকারের সেবা পরিদপ্তরের উচ্চপদস্থ পদে যেতে পারেন নার্সরা।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
নার্সিং পেশায় আসতে চাইলে আবেদনকারীকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং কোর্স পাস করতে হবে। বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের জন্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিদ্যাসহ এইচএসসি পাস হতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩.০০-এর কম থাকা যাবে না। আর এই বিএসসি কোর্সটি চার বছরমেয়াদি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) কর্তৃক পরিচালিত ভর্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে। যারা ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেয়েছে তারা আমাদের কলেজে ভর্তির যোগ্য হবে।
ল্যাব সুবিধাঃ
আমাদের কলেজের সমস্ত ল্যাব আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। ল্যাবগুলি হ’ল এনাটমি ও ফিজিওলজি, মিডওয়াইফারি, নার্সিং, কম্পিউটার, মাইক্রোবায়োলজি এবং পুষ্টি যা থেকে একজন শিক্ষার্থী সমস্ত ধরণের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
উচ্চতর গবেষণাঃ
এই কোর্সটি শেষ করার পরে শিক্ষার্থীরা এমএসসি পড়ার যোগ্য হবে। ডিগ্রী।
কাজের সুবিধাঃ
যে শিক্ষার্থীরা এই কোর্সটি সম্পন্ন করবে তারা আমাদের দেশে বিদেশী দেশগুলির আকর্ষণীয় ও সুদর্শন বেতনে সরকারী, বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং এন.জি.ও.
সাধারণ নীতিমালাঃ
- ভর্তির পর বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম-বিধি, নীতি-মালা সহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার অঙ্গিকারনামা নিতে হবে।
- কোন ছাত্র-ছাত্রী ক্রমাগত বিনা অনুমতিতে-নোটিশে ক্লাশে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
- যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী ৬ মাস অন্তর চুড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় এবং ৭ দিন পর দ্বিতীয় সুযোগেও আবার অকৃতকার্য হয় তবে তার প্রশিক্ষণ বাতিল হয়ে যাবে।
- কোর্স চলাকালীন সময়ে অন্য কো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ণ করতে পারবেন না
- কোর্স চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম –শূঙ্খলা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে
- কোর্স সমাপ্তি পর সরকারি চাকুরির কোন নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে না
- অধ্যয়ণকালীন সময় ড্রেসকোড অনুযায়ী পোষাক পরিধান করতে হবে